কিভাবে বিটকয়েন আয় করা যায়?

বিটকয়েন আয়
অনেকের মনে প্রশ্ন কিভাবে বিটকয়েন আয় করবো? আসলে বিটকয়েন আয় করার বদলে কিভাবে সাতোশি আয় করবেন বলাটাই শ্রেয়।এখানে দু’পদ্ধতিতে সাতেশি আয় করা যায়।প্রথম পদ্ধতি ফ্রী অন্য পদ্ধতি হচ্ছে ইনভেস্ট করে।অনলাইনে অসংখ্য সাইট রয়েছে, যেসকল সাইটে সাতোশি আয় করা যায়।

যাদের সাতোশি আয় করা সম্পর্কে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে শুধুমাত্র তাদেরই ইনভেস্ট করার পদ্ধতি
অনুসরন করা উচিৎ। তা না হলে পুঁজি হারানোর সম্ভবনা অনেক প্রবল।আমরা সবাই জানি অনলাইন ক্ষেত্রটি বিস্বয়কর উদ্ভাবনি হলেও এখানো অবকাঠামোগত কিছু দুর্বলতা রয়ে গেছে, যার কারনে চোর-বাটপার-ঠকবাজদের কর্মকান্ড ঠেকানো সম্ভব হয়নি এখনো পর্যন্ত।
বিশেষ করে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইনকাম ভিত্তিক সাইটগুলোর অবস্থা বেশ করুন।স্ক্যামার অর্থাৎ বিভিন্ন প্রলোভনের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে উধাও হয়ে যাওয়া সাইটগুলোই মূলত বেশী সমস্যার সৃষ্টি করে।যাই হোক সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ।আমরা জানবো কিভাবে ফ্রী সাতোশী আয় করা যায়।
ফ্রী সাতোশি আয় করার আগে আমাদের যে কাজটি প্রথম করতে হবে তা হচ্ছে একটি বিটকয়েন ওয়ালেট অ্যাড্রেস তৈরী করতে হবে। ওয়ালেট অ্যাড্রেস ছাড়া সাতোশি ইনকাম করতে পারবেন না। ওয়ালেট অ্যাড্রেস না থাকলে এখান থেকে দেখে নিতে পারেন কিভাবে ওয়ালেট অ্যাড্রেস পাবেন।
এই ওয়ালেট অ্যাড্রেসটা হচ্ছে সাতোশি রাখার পকেট। যেখানেই সাতোশি দেখবেন সেখান থেকেই সাতোশি নিয়ে আপনার পকেটে (ওয়ালেট অ্যাড্রেস)রাখবেন, অনেকটা এমন। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো কিভাবে ফ্রী-তে সাতোশি আয় করা যায়। 

দু’পদ্ধতিতে ওয়ালেট অ্যাড্রেসে সাতোশী জমা হয় 
অনলাইনে সাতোশি সাইটগুলো থেকে সাতোশি আয় করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম আছে।যেসব সাইট ফ্রী সাতোশী দেয় সেসব সাইটে দুটি পদ্ধতিতে সাতোশি দেয়। 
১.সরাসরি ওয়ালেটে 
২.ভায়া হয়ে ওয়ালেটে। (ভায়া ওয়ালেটে জমা হওয়া সাতোশী অটোমেটিক পদ্ধতিতে মূল ওয়ালেটে জমা হয়।)

সরাসরি ওয়ালেটঃ যে সব সাইট সরাসরি ওয়ালেটে পাঠায় তাদেরও নুন্যতম শর্ত আছে। প্রথম শর্ত হচ্ছে সাতোশীর পরিমান। এসব সাইট থেকে নুন্যতম পরিমান সাতোশী জমা হলেই গ্রাহকের বিটকয়েন ওয়ালেট অ্যাড্রেসে প্রতি সপ্তান্তে (শনি/রবি/সোম) পাঠিয়ে দেয়া হয়। এসব সাইটে ইমেইল এবং ওয়ালেট অ্যাড্রেস দিয়ে সাইন আপ করে নিতে হয়।

ভায়া ওয়ালেটঃ যে সব সাইট সরাসরি গ্রাহকের মুল ওয়ালেটে সাতোশী পাঠায় না সেসব সাইট গুলোকে ভায়া ওয়ালেট বলে। যেমন- ফসেটবক্স, পেতোশী, ইপে ইত্যাদি।সাতোশী দেয়া সাইট থেকে অর্জিত সাতোশী প্রথমে ‘ভায়া সাতোশী ওয়ালেটে’ পাঠানো হয়।এসব ভায়া ওয়ালেটে জমাকৃত সাতোশীর পরিমান যা নির্দিষ্টকরণ আছে তা পূরুণ হলে ১২-৪৮ ঘন্টা পর সাতোশী অটোমেটিক পদ্ধতিতে গ্রাহকের মুল ওয়ালেটে জমা হয়। এসব ‘ভায়া ওয়ালেট’ সম্বলিত সাইটগুলোতে সাইন-আপ করতে হয় না। শুধুমাত্র ৩৪ বর্ণের ওয়ালেট অ্যাড্রেস দিয়ে যথারীতি নানামুখি ক্যাপচা পুরুন করে সাতোশী পাওয়ার ক্লেইম বাটনে ক্লিক করলেই কাজ শেষ হয়।
কিছু ব্যতিক্রমও আছে। কিছু সাইটে ম্যানুয়ালি পদ্ধতিতে উইথড্র বাটন টিপে ফুসেটবক্স ওয়ালেটে (ভায়া ওয়ালেট) সাতোশী প্রেরণ করতে হয়।একইভাবে কিছু সাইটে ম্যানুয়ালি পদ্ধতিতে উইথড্র বাটন টিপে মূল ওয়ালেটে সাতোশী প্রেরণ করতে হয়।

কিভাবে কাজ করতে হয়
ফ্রী সাতোশী পাওয়ার জন্যএকেকটি সাতোশী সাইটে মূলত তিনটি কাজ করতে হয় । তবে যেসব সাইটে সাইন-আপ করে কাজ করতে হয়, সেসব সাইটে দুটি কাজ করতে হয়।প্রতমত ক্যাপচা পূরুণ করা এবং দ্বিতীয়ত ক্লেইম বাটনে ক্লিক করা।

কিন্তু যেসব সাইটে সাইন আপ করতে হয় না সেসব সাইটে প্রতিবারেই ওয়ালেট অ্যাড্রেসবারে গ্রাহকের ৩৪ বর্ণের অ্যাড্রেস দিয়ে বাকী দুটি কাজ সম্পূর্ণ করতে হয়। ক্যাপচা পূরুণ করা এবং ক্লেইম বাটনে ক্লিক করা।এই তিনটি কাজ করা তেমন কোন কঠিন নয় এমন মনে হতে পারে। কিন্তু এই তিনটি কাজ করতে যেয়ে গলদঘর্ম হতে হয়। অনেক সময় সব ঠিক-ঠাক পূরুন করার পরও সাতোশী পাওয়া যায় না।তবে এটা কোন সমস্যা নয়।কারণ ফ্রী সাতোশী দেয়ার সাইট রয়েছে অসংখ্য।  ১০০ টি সাইটের মধ্যে ৫টি সাইট থেকে সাতোশী পাওয়া না গেলে তেমন সমস্যা নয়। আর অনেক সাইট থেকে আপনি সাতোশি নাও পেতে পারেন। ঐ যে বললাম স্ক্যামার। অবশ্য তার পরিমানও বেশ কম। কিন্তু যেসব সাইটের সাতোশি ফসেটবক্সে জমা হয় সেসব সাইট থেকে অন্তত সাতোশি পাওয়া সহজ।

তিনটি কাজ করা কেন কঠিন?
ফ্রী সাতোশী সাইট গুলোতে ওয়ালেট অ্যাড্রেসবারে গ্রাহকের ৩৪ বর্ণের অ্যাড্রেস দেয়া থেকে শুরু করে ক্লেইম বাটন ক্লিক করা পর্যন্তই কাজ।এসব সাইটে এই তিনটি কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য একজন গ্রাহককে গোলক ধাঁধার চক্করে ফেলে দেয় সাইটগুলো।এসকল সাইটগুলোতে প্রবেশ করলে দেখা যায় অসংখ্য বিজ্ঞাপন এলোমেলো ভাবে দেয়া। যাতে গ্রাহক  ভুল করে বিজ্ঞাপনেই ক্লিক করে। ফেইক অ্যাড্রেসবার,ফেইক ক্যাপচা বাটন, ফেইক ক্লেইম বাটন। এখন এখান থেকে চিনে বের করতে হবে আসল বাটনগুলো কোনটি।ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। দু’একদিন কাজ করলেই সবই আয়ত্তে এসে যাবে।অনেক সময় আসল ওয়ালেট অ্যাড্রেসবার এবং ক্যাপচা ঘর খুঁজে পাওয়া গেলেও ক্লেইমবাটন খুঁজে পাওয়া না।আসলে একেক সাইট একেক রকম ভাবে ক্লেইম বাটনকে লুকিয়ে রাখে।অনেক সময় ক্যাপচা পূরুন করলেই (ভিন্ন ভিন্ন নামে) ক্লেইম বাটন দেখা যায়।যেমন- রিওয়ার্ড, গেট রিওয়ার্ড, ক্লেইম ইত্যাদি।আবার এই ক্লেইম বাটন দেখার জন্য ৪টি/৬টি/৭টি ‘অ্যান্টি বট’ ভিন্ন ভিন্ন নামের টেক্সট আকারে ক্ষুদ্রাকৃতির বাক্য ছড়ানো থাকবে এলোমেলোভাবে। সেসব অস্পষ্ঠ অ্যান্টি বটগুলো খুঁজে বের করে একে একে ক্লিক করতে হবে।মনে রাখতে হবে অ্যান্টিবটগুলোকে এমনভাবে ক্লিক করতে হবে যাতে বিজ্ঞাপনের গায়ে ক্লিক না পরে।এন্টিবটগুলো কোনটা আগে আর কোনটা পরে ক্লিক করতে হবে তার একটা নির্দেশনা সাইটে দেয়া থাকবে।  উল্লেখিত নির্দিষ্ট সংখ্যক অ্যান্টিবট ক্লিক করার পর ক্লেইম বাটন দেখা যাবে।তবে ক্লেইম বাটনের আকার বা আকৃতি সব সাইট এক রকম হবে না। কোনটা ছোট আবার কোনটা বড় হবে।আকৃতি যেমনি হোক না কেন তাতে ক্লিক করে কাজ সম্পূর্ন করতে হবে।

রিয়েল অ্যাড্রেসবার, ক্যাপচা বাটন এবং ক্লেইম বাটন বাটন চেনার উপায়
অ্যাড্রেসবার, ক্যাপচা বাটন এবং ক্লেইম বাটনের ওপর মাউসের পয়েন্টার নিয়ে রাইট বাটন ক্লিক করলে যদি নিউ ট্যাব লিংক করার অপসন দেখা যায়, তাহলে সেটি আসল ক্লেইম বাটন নয়। যেটিতে রাইট বাটন ক্লিক করার পর কোন লিংক অপসন দেখা যাবে না, সেটিই মূলত আসল অ্যাড্রেসবার, ক্যাপচা বাটন এবং ক্লেইম বাটন।তবে মাঝে মাঝে এর ব্যাতিক্রমও পরিলক্ষিত হয়। তবে সেটা সামান্যই। আরো একটি বিষয় জানা জরুরী। এসব সাইটগুলো পুরোপুরিলোড হতে সময় বেশী নেয়।তাই ইচ্ছে থাকা সত্তেও কাঙ্খিত গতিতে কাজ করা সম্ভব নয়। নেটের স্পিড বেশী হলে হয়তো কিছুটা গতি বাড়বে।তবে সেটা খুবই সামান্য।

নিয়মিত ফ্রী সাতোশি আয়ের সাইটসমূহ
ফ্রী সাতোশী সাইটগুলো প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয়।এই পরিবর্তন হওয়ার কারনে গ্রাহকরা বিনিয়োগ করে হিসেব করে।তবে এখানে কিছু সাইটের লিংক দেয়া হলো, তা শুধু ফ্রী সাতোশী পাওয়ার জন্যে, বিনিয়োগের জন্যে নয়্।না বুঝে বিনিয়োগ করা উচিত নয়। বিভিন্ন সাইট বিভিন্ন সময়ে পরপর সাতোশি দেয়। এসব সাইট থেকে ৩/৫/১০ মিনিট অথবা ১/ ২/ ৩/ ৬/ ৮/ ১০/ ১২/ ১৫/ ২৪ ঘন্টা  পরপর ফ্রী সাতোশী ক্লেইম করা যায়। অবশ্য কিছুদিন পর পর এসব ওয়েব সাইটের এডমিনরা সাতোশি ক্লেইম করার সময় বাড়িয়ে বা কমিয়ে দেয়। এটা কোনো সমস্যা না।  এবার আসুন নীচের লিংকে ক্লিক করে ফ্রী সাতোশী আয় শুরু করা যাক।



২৪ ঘন্টা পর পর সাতোশি পাওয়ার সাইট

এসকল সাইটে কাজ করার সময় যদি কোনো সমস্যার সম্মুখীন হন তবে আমাকে কমেন্টে জানাতে পারেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন